Posts

Showing posts from March, 2020

ইমাম মাহদী কি ২০ শতাব্দীতেই আসবে?

Image
বর্তমানে সব চেয়ে বড় ফিতনা হচ্ছে ইমাম মাহ্দী নিয়ে। ইমাম মাহ্দী কবে আসবেন এবং আগমনের বিভিন্ন সাল নিয়ে মতোবিরোধ চলছে। তবে আমি কিছু তথ্য দিতে চাই আপনাদের যাতে এই ফিতনা আপনারা চিনতে পারেন। আমি আপনাদের কাছে ২ টি বিষয় নিয়ে আলোচনা করবো ইনশাল্লাহ। আর আমার ব্যাখ্যা কুরআন ও হাদিসের বিপরীত বা এর বাহিরে যাবে না। ১. ভন্ড ইমাম মাহ্দী দাবি নিয়ে আলোচনা। ২. ইমাম মাহ্দী এর আগমনের সাল ও এ নিয়ে মতবিরোধ নিরসন। আমি আজকে আলোচনা করবো ভন্ড ইমাম মাহ্দী নিয়ে। এর কোনো প্রমান আমি হয়তো হাদিস দিয়ে করতে পারবো না যদিও থেকে থাকতে পারে যা আমি পাইনি বা কেউ পেয়েছে কিনা জানিনা। তবে শুধু মাত্র তথ্য বিশ্লেষণ করে তা প্রমান করতে পারবো এবং এর সত্যায়ন শুধু মাত্র একটি ইলহামী ভবিষ্যতবাণী কবিতা কাসিদায় সওগাত এর মতো যার নাম আগামী কথন সেটি করতে পারবে। তবে আগে যাচাই বাছাই করে নিবেন আপনারা এটাই আমার চাওয়া। ইমাম মাহ্দী নিয়ে যেমন একটা হৈচৈ বিরাজ করছে এই ফিতনার জামানায় তখন অনেক ভন্ড ইমাম মাহ্দী হিসেবে দাবি করছে এবং আরো করবে। সেই ৭০০-৮০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে মাহ্দী দাবি চলে আসছে। এমন কি এখন বাংলাদেশ থেকেও মাহ্দী দাবি করছে অনেকেই। শুধু মাহ্দী নয়...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ৮

Image
        🕑সময় দ্রুত অতিবাহিত হওয়া🕑 হযরত আবু হুরায়রা (রাযি:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, "সেই সময় পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হব না, যতক্ষণ না সময় পরস্পরের খুব কাছাকাছি হয়ে যায়। সে সময় বছর মাসের,মাস সপ্তাহের,সপ্তাহ দিনের, দিন ঘন্টা আর ঘন্টা খেজুরের পাতা বা ডাল প্রোজ্জ্বলনের সময়ের সমান হয়ে যাবে। " (ইবনে হিব্বান,খ. ৫,পৃ. ২৫৬) হাদীসের অর্থ হল,সময়ের বরকত কমে যাবে। আর সেই বরকত কতটা কমে গেছে তা এই যুগের মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছে। সপ্তাহ,মাস,বছর,দিন কোন ফাঁকে চলে যাচ্ছে, টেরই পাওয়া যাচ্ছে না। অবশ্য দ্বীন -ধর্মের সাথে সম্পর্কহীন ব্যক্তিরা অবাক হয়ে ভাবে,সময়ের বরকত আবার কী? আগেওও দিন চব্বিশ ঘন্টা ছিল এখনো তাই আছে! সপ্তাহে এখনো পূর্বের ন্যায় সাত দিনই হয়! মাসও তো পূর্বের ন্যায় এ যুগেও ত্রিশ দিনই হয়! সময়ের বরকতের অর্থ বুঝতে চান? তাহলে ফজত নামাজের পর থেকে রাতে শোওয়ার পূর্ব পর্যন্ত সময়ে আপনি কী পরিমাণ কাজ করেছেন আর কতটা সময় অযথা বিনষ্ট করেছেন, তার হিসাব করুন। তারপর আপনি সারাটা দিন যে কাজে ব্যয় করেন তা ফজরের নামাজের পর করে দেখুন, সেই কাজটা কত দ্রুত হয়। অল্প সময়ে অনেক ...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ৬

Image
              ✒️ পাঁচটি মহাযুদ্ধ ✒️ হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি:) বলেন, "(পৃথিবীর শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত) মানুষের মহাযুদ্ধ পাঁচটি। এর মধ্যে দুটি (এই উম্মতের আগে) বিগত হয়েছে। অবশিষ্ট তিনটি এই উম্মতের মাঝে সংঘটিত হবে। এর একটি হল তুর্কি মহাযুদ্ধ, একটি রোমানদের সাথে মহাযুদ্ধ আর তৃতীয়টি হল দাজ্জালের মহাযুদ্ধ। দাজ্জালের পর আর কোন মহাযুদ্ধ হব না।" (আল-ফিতান,খ.২,পৃ. ৫৪৮; আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিল ফিতান) হযরত মাহদীর আমলে অনুষ্ঠেয় বিগ্রহ সম্পর্কে একটি কথা মনে রাখা দরকার যে,এইসব যুদ্ধই মহাযুদ্ধ হবে। অর্থাৎ সত্য ও মিথ্যার চূড়ান্ত লড়াই হবে এগুলো। উভয় পক্ষই ততক্ষণই যুদ্ধ চালিয়ে যাবে, যতক্ষণ না তা সবটুকু শক্তি নিঃশেষ হয়ে যায়। সামান্য শক্তিও অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত কেউই পিছপা হবে না। তাছাড়া এই যুদ্ধগুলো শুধু ইমাম মাহদীর অঞ্চল পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে না। বরং একই সময়ে একাধিক অঙ্গনে লড়াই হবে। এর মধ্যে একটি অঙ্গন হবে সেটি,যাতে হযরত মাহদী স্বয়ং সেনাপতিত্ব করবেন। অপর বড় রণাঙ্গনটি হবে ফিলিস্তিন। তৃতীয়টি হবে ইরাক, যেটি হাদীসে "ফোরাত তীরের যুদ্ধ" নাম...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ৭

Image
      🔫🔫আলেমদের হত্যা করা হবে 🔫🔫 অতি সম্প্রতি একটি ঘটনা মুসলিম বিশ্বকে বেশ নাড়া দিয়েছে। তাহল সৌদি আরবে তিনজন প্রখ্যাত আলেমকে মৃত্যদন্ড প্রদান। এ নিয়ে তীব্র সমালোচনাও চলেছে। শুধু সৌদি আরব নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই প্রায়ই আলেমদের হত্যা করা হয়ে থাকে। আসলে এটাও শেষ জামানার একটি আলামত। যেটা দাজ্জাল আগমনের পূর্বে ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে। নবী (সা:) বলেছেন, "আলেমদের জীবনে এমন একটি সময় আসবে, যখন তাদের এমনভাবে হত্যা করা হবে, যেভাবে চোরদের হত্যা করা হয়। আহ! সেদিন যদি আলেমরা নির্বোধের ভান ধরত!!" (আসসুনানুল ওয়ারিদাতু ফিলফিতান,খ. ৩,পৃ. ৬৬১; আত-তাকরীব,খ. ২,পৃ. ৩৩১; আল-মীযান,খ. ৪,পৃ. ৩৩৪) হযরত আবু হুরায়রা (রাযি:) বলেন,"আমি সেই সত্তার শপথ করে বলছি,যাঁর হাতে আমার জীবন,নিঃসন্দেহে আলেমদের জীবনে এমন একটা সময় আসবে,যখন তাদের কাছে লাল সোনার চেয়েও মৃত্যু বেশি প্রিয় হবে। তোমাদের মধ্যে কেউ তার ভাইয়ের কবরের কাছে গেলে কবর বলবে,হায়! এর জায়গায় যদি আমি হতাম!" (মুসতাদরাকে হাকেম,পৃ. ৮৫৮১) আজকাল কীরূপ বর্বরতা, নির্দয় ও নির্মমভাবে সেই সব ব্যক্তিদের হত্যা করা হচ্ছে যারা জগতের ব্যবস্থাপনা ও শৃঙ্খলাক...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা-৫

Image
🚫পূর্ববর্তী জাতিসমূহের রীতিনীতি অবলম্বন করা🚫 হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযি:) হতে বর্ণিত,রাসূল (সা:) বলেছেন, " নিঃসন্দেহে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের রীতির অনুসরণ করবে। এক বিঘতের বিপরীতে এক বিঘত,এক হাতের বিপরীতে এক হাত (অর্থাৎ হুবহু)। এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তের ভিতরে প্রবেশ করে,তোমরা তাও অনুসরণ করবে।" আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল,আপনি কি ইয়াহুদি-খ্রিস্টানদের কথা বলছেন? উত্তরে তিনি বললেন, "আর কাদের?" (সহীহ বুখারী,খ. ৩, পৃ. ১২৭৪; সহীহ মুসলিম,খ. ৪, পৃ. ২০৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, খ. ১৫, পৃ. ১৯৫) পূর্ববর্তী উম্মত তথা ইহুদি-খ্রিস্টানরা যেসব ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিল,বর্তমান যুগের মুসলিমরাও সেসব ব্যাধিতে আক্রান্ত। ব্যভিচার,মদপান,জুয়া,বেইমানী, অন্যায় হত্যা,খুন-খারাবী, আল্লাহর কিতাবের বিকৃতি সাধন,নবীর (সা:) আদর্শ ও শিক্ষায় মনগড়া সংযোজন- বিয়োজন, দ্বীনের সেই বিষয়গুলোর উপর আমল করা যেগুলো নিজের কাছে ভালো লাগে আর যেগুলো কষ্টকর মনে হয় সেগুলো ত্যাগ করা, এতিম-বিধবাদের সম্পদ ভোগ করা, পাশ্চাত্য কালচার অন্ধের মত  অনুসরণ করা এই সবই আমাদের ধ্বংস ডেকে আনছে।  অথচ আমরা বেখবর। আধুন...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ৪

Image
🚫খেলাফতের অবসান🚫 হযরত আবু উমামা বাহেলি (রাযি:) বর্ণনা করেন,রাসূল (সা:) বলেছেন, " ইসলামের কড়াগুলো একটি একটি করে ভেঙে যাবে। একটি ভেঙে যাবার পর মানুষ পরেরটি আঁকড়ে ধরবে। সর্বপ্রথম যে কড়াটি ভাঙবে সেটি হল ইসলামি শাসন অর্থাৎ খেলাফত। আর সর্বশেষ হল নামাজ।" (শুয়াবুল ঈমান,খ. ৪,পৃ. ২৩৬; আল-মুজামুল কাবীর,খ. ৮,পৃ. ৯৮) মুসলিম জাতি তার অধঃপতনের ধারাবাহিকতায় সর্বপ্রথম যে বিষয়টি পরিত্যাগ করবে তা হল ইসলামী শাসন। আরেক বর্ণনায় আছে, তা হল আমানত। দুটির মর্ম মূলত একই। ইসলামী পরিভাষায় 'আমানত' ব্যাপক অর্থবোধক একটি শব্দ। যেমন- পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হচ্ছে- "আমি আমানতকে আকাশ,পৃথিবী ও পাহাড়ের উপর পেশ করেছিলাম;কিন্তু তারা একে বহন করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিল এবং উক্ত কর্তব্য পালনে ভীত হল। অবশেষে মানুষ তাকে বহন করে নিল।" (সূরা আহযাব : ৭২) হযরত কাতাদাহ (রহ.) এখানে আমানতের ব্যাখ্যা করেছেন :           "দীন,ফারায়েজ ও হুদুদ" মানে আল্লাহ পাকের ঠিক করে দেয়া যাবতীয় হক আদায় করা,সবরকম ফরজ আদায় করা এবং ইসলামের দণ্ডবিধি অনুসরণ করা। আর এই সবগুলো বিষয়ই ইসলামী খেলাফতের অধীনে অত্যন্ত সুন্দর ও ...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ৩

Image
💿আধুনিক প্রযুক্তির ব্যাপারে ভবিষৎবাণী💿 হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযি:) হতে বর্ণিত, রাসূল (সা:) বলেছেন, "আমি সেই সত্তার শপথ করে বলছি,যাঁর হাতে আমার জীবন,কেয়ামত সেই সময় পর্যন্ত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না হিংস্র জন্তুরা মানুষের সাথে কথা বলেব। আর যতক্ষণ না মানুষের উরু তাকে তথ্য জানাবে, তার অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী কী-কী কাজ করেছে।" (মুসতাদরাকে হাকেম, খ. ৪,পৃ. ৫১৫; তিরমীযী,হাদীস নং : ২১০৮) হাদীসটি একই ভাবে আরেক বর্ণনায় এরূপ- ইমাম আহমাদ (রঃ) আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন, ‘‘জনৈক রাখাল মাঠে ছাগল চরাচ্ছিল। হঠাৎ একটি নেকড়ে বাঘ এসে একটি ছাগলের উপর আক্রমণ করলো। রাখাল বাঘের পিছনে ধাওয়া করে ছাগলটি ছিনিয়ে আনল। বাঘটি একটি টিলার উপর বসে বলতে লাগলোঃ তুমি কি আল্লাহকে ভয় করোনা? আল্লাহ আমাকে একটি রিজিক দিয়েছিলেন। আর তুমি তা ছিনিয়ে নিলে। রাখাল বললঃ কি আশ্চর্য্য ব্যাপার! মানুষের ন্যায় বাঘও আমার সাথে কথা বলছে। বাঘ বললোঃ আমি কি তোমাকে এর চেয়ে আশ্চর্য্যজনক খবর দিবোনা? মদীনায় মুহাম্মাদ (সা:) অতীতে যা ঘটেছে এবং আগামীতে যা ঘটবে তা সম্পর্কে মানুষকে সংবাদ দিচ্ছে। রাখাল তার ছাগলের পাল নিয়ে মদ্বীনায় প্রবে...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ২

Image
দাজ্জালের আগমন অস্বীকার হযরত ইবনে আব্বাস (রাযি:) বর্ণনা করেন,ওমর (রাযি:) একদিন ভাষণ দিলেন। তাতে তিনি বললেন,অদূর ভবিষ্যতে এই উম্মতের মাঝে এমন এক জনগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটবে,যারা রজমকে (ব্যাভিচারের দায়ে পাথর নিক্ষেপে হত্যা করার দণ্ডবিধি) অস্বীকার করবে,দাজ্জালের আগমনকে অস্বীকার করবে,কবরের আযাবকে অস্বীকার করবে,সুপারিশ অস্বীকার করবে এবং একদল গুনাহগার মুসলমান জাহান্নাম থেকে নিষ্কৃতি লাভ করার আকীদাকে অস্বীকার করবে।" (ফাতহুল বারী,খ. ১১,পৃ. ৪২৬) খলিফা ওমর (রাযি:) এর ভবিষৎবাণী আজ অক্ষরে অক্ষরে প্রতিফলিত হচ্ছে। ইহুদী-খ্রিস্টানদের অর্থে প্রতিপালিত এনজিও সংস্থাগুলো তাদের প্রভূদের পরিকল্পনায় নিত্যদিন ইসলামী বিধিবিধান নিয়ে মশকারা ও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে যাচ্ছে। ইসলামী চিন্তা-চেতনা ও বোধ-বিশ্বাসকে মুসলমানের জীবন থেকে চিরতরে মুছে ফেলার চেষ্টা চালাচ্ছে। ইসলাম,ইসলামি আইন ও ফতোয়া ইত্যাদি নিয়ে এমনভাবে যে যেভাবে ইচ্ছা আলোচনা চালাচ্ছে, যেন এসব কোন মানুষের তৈরি বিধান! হাল আমলে ইসলামি বিধানকে "মধ্যযুগীয়, বর্বর" আখ্যা দেয়া বুদ্ধিজীবী-চিন্তাবিদের অভাব নেই। এরাই আমাদের শেখায় কেয়ামত বলে কিছু নেই,পরকাল বলে...

ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা - ১

Image
ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা অর্থাৎ ইমাম মাহদী আগমনের লক্ষণ আর কেয়ামতের আলামত বা লক্ষণ একই। আজ একটি আলামত নিয়ে কিছু আলোচনা হয়ে যাক।   ♨️♨️মদীনা শরীফ থেকে হেজাজ নামক আগুনের আত্মপ্রকাশ♨️♨️     হযরত আবু হুরায়রা (রাযি:) বর্ণনা করেন,রাসূল (সা:) বলেছেন, "যতক্ষণ না হেজাজ থেকে একটি আগুন প্রজ্জলিত হয়ে বসরার উটগুলোর ঘাড়কে আলোকিত করে দেবে,ততক্ষণ কিয়ামত সংঘটিত হবে না।" (বুখারী,খ.২পৃ.১০৫৪,মুসলিম,খ.২,পৃ.৩৯৩) এই হাদীসে যে আগুনের কথা বলা হয়েছে,আল্লামা ইবনে কাছীর (রহ.) ও অন্যান্য ঐতিহাসিকদের মতে,সেই আগুন ৬৫০ হিজরীর জমাদিউস সানি মাসের এক শুক্রবারে পবিত্র মদীনার হেজাজ থেকে আত্মপ্রকাশ করেছিল এবং প্রায় একমাস বহাল ছিল।   বর্ণনাকারীদের মতে, হঠাৎ হেজাজের দিক থেকে এমন এক আগুন বের হল,মনে হচ্ছিল সেটি আগুনে পূর্ণ একটি নগরী আর তাতে দূর্গ,বুরুজ সবই আছে। তার দৈর্ঘ্য ছিল চার ফালং আর প্রস্থ চার মাইল। আগুনের ধারা যে পাহাড় স্পর্শ করত,তাকে সীসা ও মোমের মত গলিয়ে দিত। তার শিখার মধ্যে বিজলীর গর্জন আর সমুদ্র তরঙ্গের ন্যায় জোশ ছিল। মনে হত,যেন তার মধ্য থেকে লাল ও নীল বর্ণের সমুদ্র বেরিয়ে আসছে...

ইমাম মাহদির আগমনের দিনটিকে দাজ্জালি মিডিয়া কেমনভাবে বিশ্বে সংবাদ হিসাবে প্রচার করবে

Image
কাফেররা মুসলমানদেরকে যে দৃষ্টিভঙ্গির দিকেই নিতে চায়, সারা বিশ্ব ওদিকেই দৌড়ে যেতে শুরু করে। সমাজের শিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ কোন প্রকার লাভ লোকসান বিবেচনা ছাড়াই হলিউড-বলিউড নায়িকাদের মায়াবী চুলের বন্ধনে বন্দি হয়ে আছে। সত্যকে মিথ্যা আর মিথ্যাকে সত্য বানিয়ে মানুষের সামনে পেশ করা হচ্ছে। দাজ্জালি শক্তির বিরুদ্ধের যুদ্ধকে একতরফাভাবে “সন্ত্রাসী যুদ্ধ” বলে মানুষের ব্রেইনে বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। দাজ্জালি শক্তির বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে অনেক ভূখণ্ডেই আল্লাহর বান্দারা যুদ্ধ জারি রেখেছেন। বীরত্ব, বাহাদুরি, ধৈর্য এবং আত্মোৎসর্গের এমন এমন ইতিহাস রচনা করে যাচ্ছেন যে, উম্মতের জন্য তা গৌরবের বিষয় ছিল। কিন্তু এই মিডিয়া মানুষকে পুরো বিষয়টিকে ‘সন্ত্রাস’ বলে মোহাচ্ছন করে রেখেছে। একমাত্র আল্লাহ যাকে চান, সেই একমাত্র এর থেকে মুক্ত হতে পারছে। কুফর ও ইসলামের মধ্যকার এ যুদ্ধে মানুষেরা ঐ মতামতটিকেই বিশ্বাস করে নিচ্ছে, যা দাজ্জালি শক্তি এবং তার অনুসারীরা মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিচ্ছে। এমনকি জ্ঞানীগুণী ব্যক্তিবর্গও মিডিয়ার এ বিষাক্ত ছোবল থেকে মুক্ত নয়। যেমনটি হযরত হুজায়ফা (রাঃ) বলেন, “তোমাদের ব্যাপারে আমি সবচেয়ে বেশি যে জিনিসের ভ...

হযরত মাহদী আবির্ভাবের লক্ষণ - ৪

Image
সুফিয়ানির পরিচয় হযরত আলী (রাঃ) বলেন, “সুফিয়ানি – যে লোক শেষ যুগে সিরিয়াতে দখল প্রতিষ্ঠা করবে সে বংশগতভাবে খালিদ ইবনে ইয়াজিদ ইবনে মুয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ানের বংশোদ্ভুত হবে। তার মাথা হবে বড় এবং মুখে শ্বেতরোগের দাগ থাকবে। এক চোখে একটি সাদা দাগ থাকবে। দামেশকের দিক থেকে তার আত্মপ্রকাশ ঘটবে। তার সহচরদের মধ্যে “কালব্যিয়া” বা “কাল্ব” গোত্রের লোক বেশি হবে। মানুষের রক্ত ঝরানো তার বিশেষ অভ্যাসে পরিণত হবে। যে লোকই বিরোধিতা করবে, তাকেই হত্যা করা হবে। এমনকি গর্ভস্থিত সন্তানদের পর্যন্ত হত্যা করবে। যখন হারাম শরীফে ইমাম মাহদী  (আঃ) এর আগমনের খবর প্রকাশ পাবে তখন এই শাসক ইমাম মাহদী (আঃ) এর বিরুদ্ধে একটি বাহিনী প্রেরণ করবে”। (মাজাহিরে হক জাদিদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ৪৩) “শুরুর দিকে তারা ন্যায়পরায়ণ শাসক হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে, পরে যখন শক্তি ও ক্ষমতা পাকাপোক্ত হয়ে যাবে, তারা অত্যাচার-অবিচার ও অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়বে”। (ফয়জুল কদির, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ১২৮) অর্থাৎ প্রথমে তাদেরকে মুসলমানদের মাঝে মহান নেতা বা হিরো হিসাবে উপস্থাপন করা হবে, কিন্তু পরে তাদের আসল রূপ প্রকাশ হয়ে পড়বে এবং মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে। “প্রথ...

ইমাম মাহদী আবির্ভাবের লক্ষণ - ৩

Image
হযরত মাহদির আত্মপ্রকাশ হযরত উম্মে সালামা (রাযি.) বর্ণনা করেন,"আমি আল্লাহর রাসূল (সা.) কে বলতে শুনেছি, একজন খলিফার মৃত্যুর সময় মতবিরোধ দেখা দেবে। তখন বনু হাশিমের এক লোক মদীনা ত্যাগ করে মক্কা চলে আসবে (এই আশঙ্কা করে যে, মানুষ পাছে তাকে খলিফার পদে অধিষ্ঠিত করে কিনা)। কিন্তু জনগণ তাঁর ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাকে ঘর থে (এই বাইয়াতের সংবাদ পেয়ে) তার বিরুদ্ধে শাম হয় থেকে একটি বাহিনী প্রেরিত হবে। বায়দা নামক স্থানে এসে পৌঁছানোর পরে এই বাহিনী তাকে ধসিয়ে দেয়া হবে। অতঃপর ইরাকের ’আসাইব’ ও শামের ’আবদাল’ তার কাছে আগমন করবেন। তারপর শামের কালব বংশের এক ব্যক্তির আগমন ঘটবে। সেই ব্যক্তি তার বিরুদ্ধে বাহিনী প্রেরণ করবে। কিন্তু আল্লাহ পরাস্ত করবেন যার ফলে তাদের উপর বিপদ নেমে আসবে। এটিই হল কালবের যুদ্ধ। যে ব্যক্তি কালবের গনিমত থেকে বঞ্চিত হবে,সে ব্যর্থ বলে বিবেচিত হবে। তারপর তিনি (মাহদী) ধনভাণ্ডার খুলে দিবেন,মাল–দৌলত বণ্টন করবেন এবং ইসলামকে বিশ্বময় সুপ্রতিষ্ঠিত করবেন। এই অবস্থা চলতে থাকবে সাত বছর কিংবা (কারো মতে) নয় বছর।” (ইবনে হিব্বান, হাদীস নং– ৬৭৫৭, আল–মূজামুল কাবির,হাদীস নং–৯৩১,আল–মুযামুল আওসাত,খ.২,...

ইমাম মাহদী আবির্ভাবের লক্ষণ - ২

Image
- রমযান মাসে আওয়াজ আসবে সাবধান! রমজান মাসে আকাশ থেকে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে খুব শীঘ্রই ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বে রমজান মাসে কয়েকটি নিদর্শন প্রকাশিত হবে। তার মধ্যে রমজান মাসের মাঝামাঝি সময়ে শুক্রবার রাতে আকাশে বিকট শব্দে আওয়াজ হওয়া একটি নিদর্শন। আর এই নিদর্শনটি মানব জাতির জন্য একটি দুর্যোগ, দুর্ভিক্ষ ও বিপদ আপদের নিদর্শন। তাই প্রতিটি সচেতন মুসলমানের জন্য সামনের রমজান মাস গুলোতে আমাদের খুবই সচেতন থাকতে হবে। অন্যথায়, আমাদের গাফিলতির জন্য রাসূলুল্লাহ (সাঃ) সতর্কবাণী সত্যেও আমরা মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ১, জুলফি বিশিষ্ট একটি তারকা(আগ্নি শিখা) উদিত হবে। ------------------------------------------------------------------------------- **হযরত ওলীদ (রহঃ) কা’ব (রহঃ) হতে বর্ননা করেন,তিনি বলেন, হযরত মাহদি (আঃ) এর আগমনের পূর্বে পূর্বাকাশে জুলফি বিশিষ্ট একটি তাঁরকা উদিত হবে। [আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৬৪২] ** হযরত কা’ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এমন একটি তারকা উদিত হবে,যার আলো হবে চন্দ্রের আলোর ন্যায়।এরপর উক্ত তারকা সাপের ন্যায় কুন্ডুলি পাকাতে থাকবে।যার কারনে তার উভয় ...

খোরাসানের কালো পতাকাবাহী দল সম্পর্কে হাদীসের ভবিষ্যৎবাণী

Image
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে হারিস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক (খোরাসান) থেকে কিছু লোক বের হয়ে আসবে, যারা ইমাম মাহদির খিলাফত প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করবে এবং খিলাফত প্রতিষ্ঠা সহজ করে দিবে”। (সহিহ মুসলিম, খণ্ড ৩, হাদিস নং ২৮৯৬; সুনানে ইবনে মাজা, খণ্ড ৩, হাদিস নং ৪০৮৮) ** হযরত ছওবান (রাঃ) থেকে বর্ণিত, আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমরা দেখবে, কালো পতাকাগুলো খোরাসানের দিক থেকে এসেছে, তখন তাদের সাথে যুক্ত হয়ে যেও। কেননা, তাদেরই মাঝে আল্লাহর খলীফা মাহদি থাকবে”। (মুসনাদে আহমাদ, খণ্ড ৫, পৃষ্ঠা ২৭৭; কানজুল উম্মাল, খণ্ড ১৪, পৃষ্ঠা ২৪৬; মিশকাত শরীফ, কেয়ামতের আলামত অধ্যায়) ⚫খোরাসান কোথায় অবস্থিত? _____________________________ মূলত রাসুল (সাঃ) এর যুগে বৃহত্তর খোরাসান বলতে এর সীমানা নিম্ন লিখিত ভূখণ্ডের সমষ্টিকে বুঝায়, যার মূল কেন্দ্র হচ্ছে বর্তমান আফগানিস্তান। বিস্তৃতি নিম্নরূপঃ “উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তান (হেরাত, বালখ, কাবুল, গাজনি, কান্দাহার দিয়ে বিস্তৃত), উত্তর ও দক্ষিন-পূর্ব উজবেকিস্তান (সামারকান্দ, বুখারা, সেহরিসাবজ, আমু নদী ও...

ইমাম মাহাদীর আগমনের লক্ষন - ১

Image
★ হজ্জের সময় মিনায় গণহত্যা হযরত আমর ইবনে শুয়াইব এর দাদা থেকে বর্ণিত, রাসূল (সা.) বলেছেন ,'যুলকা'দা মাসে বিভিন্ন গোত্রের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের ঘটনা ঘটবে। ফলে হজ্জ পালনকারীরা লুন্ঠিত হবে এবং মিনায় যুদ্ধ সংঘটিত হবে। সেখানে ব্যাপক প্রাণহানির ঘটনা ঘটবে এবং ভয়াবহ রক্তের স্রোত বয়ে যাবে। এমনকি তাদের রক্ত আকাবাতুল জামরার উপর দিয়ে গড়িয়ে যাবে। অবশেষে তাদের নেতা (হযরত মাহদী) পালিয়ে রোকন ও মাকামে ইব্রাহিমের মধ্যখানে চলে আসবে। তাঁর অনীহা সত্ত্বেও মানুষ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। তাঁকে বলা হবে,আপনি যদি আমাদের বাইয়াত দিতে অস্বীকার করেন,তাহলে আমরা আপনার গর্দান উড়িয়ে দিব। বদর যুদ্ধের সমসংখ্যক মানুষ তাঁর হাতে বাইয়াত গ্রহণ করবে। সেদিন যারা তাঁর হাতে বাইয়াত নিবে,আকাশ ও পৃথিবীর অধিবাসীরা তাদের প্রতি সন্তুষ্ট হয়ে যাবে।' (মুসতাদরাকে হাকেম,খ.৪,পৃ. ৫৪৯) মুসতাদরাকের অপর এক বর্ণনায় আছে,হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি.) বলেছেন,"লোকেরা যখন হযরত মাহদীর কাছে আগমন করবে,তখন হযরত মাহদী কাবা'কে জড়িয়ে ক্রন্দনরত অবস্থায় থাকবেন। হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রাযি.) বলেন,আমি যেন তাঁর অশ্রু দেখ...

ইমাম মাহাদি (আ) কবে আসবেন?

Image
ইমাম মাহদী (আঃ) এর আত্নপ্রকাশ কবে হবে? এই বিষয়টি নিয়ে প্রত্যেকটি যুগেই চলছে ভবিষ্যৎ বানী। যদিও নির্দিষ্ট সময় আল্লাহ ছাড়া আর কেউই জানে না। তারপরও কেবল মাত্র সতর্কতার জন্য ইমাম মাহদীর আগমনের কাছাকাছি একটি নির্দিষ্ট সময় নিয়ে একটু লিখতে চাই। কারন অনেকে হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা ও বর্তমান পৃথিবীর সত্য সংবাদগুলো না থাকার কারণে মনে করছেন ইমাম মাহদীর আগমন আরো শতশত বছর পরে হবে। অপরদিকে কিছু ভাই মনে করছেন ২০২৩ সালের মধ্যেই ইমাম মাহদীর আগমন হবে। যদিও এর কোনটাই সঠিক নয়। বরং বর্তমানে ইমাম মাহদী (আঃ) এর আত্নপ্রকাশের অধিকাংশ আলামত এই সময়টির সাথে মিলে যাচ্ছে। তবে এখনও কিছু আলামত বাস্তবায়ন বাকী রয়েছে। তবে কেউ আমার এই লেখাটিকে একমাত্র দলিল হিসেবে নির্ভরশীল হবেন না। ১, তুর্কি খিলাফত ধ্বংসঃ ------------------------------------ ** হযরত আবু কুবাইল (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন ১০৪ বছর পর মাহদী (আঃ) উপর মানুষ ভিড় করবে। ইবনে লাহইয়া বলেন, উক্ত হিসাবটা আজমী তথা অনারবী হিসাব মতে। আরবী হিসাব মতে নয়। [ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ - ৯৬২, আস সুনানু কিতাবুল ফিরদাউস - ৮১১ ] আমরা সবাই জানি যে, তুর্কি খিলাফত আনুষ্ঠা...