Posts

ফোরাত নদীর তীরে সোনার পাহাড় কোথায় এবং কবে ভেসে উঠবে? (২০২৩ সালে ইনশাল্লাহ)

Image
ইমাম মাহদী (আঃ) এর আগমনের পূর্বে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় ভেসে উঠা কিয়ামতের অন্যতম আলামত। বর্তমানে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই সম্পদের লোভ মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আর তাই আল্লাহ তায়ালা কিছু লোভী প্রকৃতির মানুষকে ফোরাত নদীর তীরে স্বর্নের পাহাড় প্রকাশ করে পৃথিবী থেকে নির্মূল করে দিবেন। মূলত এই আলামতটি আমাদের একেবারেই নিকটবর্তী। কিন্তু আমাদের মাঝে পর্যাপ্ত হাদীসের জ্ঞান না থাকার কারণে, আমরা কেউই বিষয়টি নিয়ে মানুষকে সতর্ক করছি না। **  হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,“অদূর ভবিষ্যতে ফোরাত সোনার ভাণ্ডার উন্মুক্ত করে দেবে। সে সময়ে এ ওখানে উপস্থিত থাকবে, সে যেন তার থেকে কিছুই গ্রহণ না করে”। (সহিহ বুখারি, খণ্ড ৬, পৃষ্ঠা ২৬০৫; সুনানে তিরমিজি, খণ্ড ৪, পৃষ্ঠা ৬৯৮) ** হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “সেই পর্যন্ত কেয়ামত সংঘটিত হবে না, যতক্ষণ না ফোরাত থেকে সোনার পাহাড় বের হবে। তার জন্য মানুষ যুদ্ধ করবে এবং প্রতি একশ জনে নিরানব্বই জন লোক মারা যাবে। যে কজন জীবনে রক্ষা পাবে, তারা প্রত্যেকে মনে করবে, বোধ হয় একা আম

ইসলামিক ইস্টেট (ISIS) কি আসহাব জাতি? তাদের কি পুনরায় উত্থান হবে? তাদের শেষ পরিণতি কি হবে?

Image
সিরিয়া যুদ্ধের পর থেকেই ইসলামিক ইস্টেট(ISIS) একটি বিতর্কিত নাম। মিডিয়ার মাধ্যমে পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ মানুষ এই দলটির নাম শুনেছে কিন্তু অধিকাংশ মানুষ এই দলটিকে শত্রু মনে করে থাকে। তাদের মনে ধারনা হচ্ছে, ইসলামিক ইস্টেট মানেই শিরশ্ছেদ করা, আত্মঘাতী বোমা হামলা করা, নারীদের ধর্ষণ করা, আর মিডিয়ার হেডলাইনে থাকা। এমনকি বেশিরভাগ মডারেটপন্থী মুসলমান মনে করে ইসলামিক ইস্টেট হচ্ছে আমরিকা এবং ঈসরাইলের তৈরি একটি দল, এবং তারা ইহুদীদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। যদিও তাদের কাছে এব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য প্রমাণ নেই। তাই আসুন হাদীসের আলোকে জানি, ইসলামিক ইস্টেট আসলে কে? কি হবে তাদের চূড়ান্ত পরিনতি? তারা কি আসলেই আমরিকা ও ঈসরাইলের তৈরি?নাকি অন্য কিছু? ⚫ ইসলামিক ইস্টেট সম্পর্কে হাদিসের আশ্চর্য্য কিছু  বর্ননাঃ ____________________________________________________ ** হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে যুরাইর আল-গাফিকী (রহঃ) বলেন, আমি হযরত আলী ইবনে আবু তালেব (রাঃ) কে বলতে শুনেছি যে, ‘স্বর্ণ খনিতে যেমনিভাবে স্বর্ণ বাছাই করা হয় অচিরে এমন ফিত্বনা হবে যে তাতে মানুষকে তেমনিভাবে বাছাই করা হবে। সুতরাং তোমরা শামবাসীকে গালি দিও

ভয়ংকর তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের মুখে দাঁড়িয়ে আছে পৃথিবীঃ

Image
আমরা কতটা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি তা জানতে হলে, আমাদেরকে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর বর্নিত আখিরুজ্জামানের হাদীসের সাথে বর্তমান পরিস্থিতি মিলিয়ে দেখতে হবে। তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলতে, এখানে খ্রিস্টানদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের আমাক প্রান্তের মহাযুদ্ধের কথা বলা হয়নি, বরং বর্তমান যুগের ভয়ংকর পারমাণবিক যুদ্ধের কথা বলা হয়েছে, এই যুদ্ধটি হবে গোটা বিশ্বব্যাপী। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষ যারা আখিরুজ্জামান এর হাদীস গুলো নিয়ে গবেষণা করেন, তারা মনে করেন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ বলতে আমাক প্রান্তের বা, দাবিক পাহাড়ের যুদ্ধকে বুঝায়? সত্যিকার তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আর আমাক প্রান্তের যুদ্ধ এক নয়। এই দুটি যুদ্ধের মধ্যে সময়ের ব্যবধান শত শত বছর। তবে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ আমাদের খুবই নিকটবর্তী, এই যুদ্ধে পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষ ধ্বংস হয়ে যাবে। থাকবেনা কোন দেশ,মহাদেশ, কাঁটাতারের বেড়া, আধুনিক প্রযুক্তি, অহংকারী নেতা ও তাদের দল। এমনকি এই ভয়ংকর বিশ্বযুদ্ধটি শত শত বছর পরে হবেনা, বরং ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের পূর্বেই হবে, অর্থাৎ আমাদের একেবারেই নিকটবর্তী। ** হযরত হুজায়ফা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ব