ইমাম মাহদী আগমনের পূর্বে পৃথিবীর অবস্থা-৫
🚫পূর্ববর্তী জাতিসমূহের রীতিনীতি অবলম্বন করা🚫
হযরত আবু সাঈদ খুদরী (রাযি:) হতে বর্ণিত,রাসূল (সা:) বলেছেন,
" নিঃসন্দেহে তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী উম্মতদের রীতির অনুসরণ করবে। এক বিঘতের বিপরীতে এক বিঘত,এক হাতের বিপরীতে এক হাত (অর্থাৎ হুবহু)। এমনকি তারা যদি গুইসাপের গর্তের ভিতরে প্রবেশ করে,তোমরা তাও অনুসরণ করবে।" আমরা জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল,আপনি কি ইয়াহুদি-খ্রিস্টানদের কথা বলছেন? উত্তরে তিনি বললেন, "আর কাদের?"
(সহীহ বুখারী,খ. ৩, পৃ. ১২৭৪; সহীহ মুসলিম,খ. ৪, পৃ. ২০৫৪, সহীহ ইবনে হিব্বান, খ. ১৫, পৃ. ১৯৫)
পূর্ববর্তী উম্মত তথা ইহুদি-খ্রিস্টানরা যেসব ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিল,বর্তমান যুগের মুসলিমরাও সেসব ব্যাধিতে আক্রান্ত। ব্যভিচার,মদপান,জুয়া,বেইমানী, অন্যায় হত্যা,খুন-খারাবী, আল্লাহর কিতাবের বিকৃতি সাধন,নবীর (সা:) আদর্শ ও শিক্ষায় মনগড়া সংযোজন- বিয়োজন, দ্বীনের সেই বিষয়গুলোর উপর আমল করা যেগুলো নিজের কাছে ভালো লাগে আর যেগুলো কষ্টকর মনে হয় সেগুলো ত্যাগ করা, এতিম-বিধবাদের সম্পদ ভোগ করা, পাশ্চাত্য কালচার অন্ধের মত অনুসরণ করা এই সবই আমাদের ধ্বংস ডেকে আনছে। অথচ আমরা বেখবর। আধুনিকতা আমাদের এতটাই গ্রাস করে রেখেছে যে, যুগের বিপরীতে চললে তাকে আমরা খ্যাত,সেকেলে বলি। উপহাস করি। একটু শক্ত করে ঈমান ধরতে গেলেই বলে বসি,ইসলাম এত কঠোর নয়। এত ধর্মান্ধতা ভালো না। এসব কোথা থেকে শিখেছেন? পাশ্চাত্য কালচার থেকে। তারা আমাদের বুঝিয়েছে -"দুনিয়াটা কয়েক দিনের,খাওদাও ফূর্তি করো"। আর আমরাও তাদের ধোঁকায় পড়ে পতঙ্গের মত তাদের ছড়ানো অশ্লীলতা- বেহায়াপনায় সয়লাব নোংরা কালচারে জড়িয়ে পড়ি। তারা আমাদের যেটা গ্রহণ করতে বলে আমরা সেটাই গ্রহণ করি। ঠিক সেভাবেই যেভাবে রাসূল (সা:) উপমা দিয়েছেন যে তারা আমাদের গুইসাপের গর্তে প্রবেশ করতে বললে আমরা তাও করবো চোখ বন্ধ করেই।
Comments
Post a Comment